পৃষ্ঠাসমূহ

মালদা: পর্ব-৩ (Malda: Part-3)

সম্পত ঘোষ (Sampat Ghosh)

মালদা: পর্ব-২ -র পর [পূর্ববর্তী পর্বগুলি পড়ার জন্যে অনুগ্রহ করে ক্লিক করুন মালদা: পর্ব-১, মালদা: পর্ব-২

হাবশী বংশের পরে বাংলার শাসনভার ন্যস্ত হয় হুসেন শাহী বংশের (১৪৯৪ থেকে ১৫৩৮ খ্রিস্টাব্দ) উপর। আলাউদ্দিন হুসেন শাহ ছিলেন এই বংশের প্রতিষ্ঠাতা।  বড়ো সোনা মসজিদ বা বারদুয়ারী মসজিদের নির্মাণ কার্য আলাউদ্দিন হুসেন শাহের সময়কালে আরম্ভ হলেও নির্মাণকার্যটি শেষ হয় নাসিরুদ্দিন নসরৎ শাহের আমলে। 


বড় সোনা মসজিদটি বারোদোয়ারী মসজিদ বলে পরিচিত হলেও এতে রয়েছে এগারোটি দরজা। মূল প্রবেশপথ দিয়ে প্রবেশ করে ডানদিকে মসজিদটি অবস্থিত।



সুলতান নসরৎ শাহের শাসনকালেই নির্মাণ হয় কদম রসুল মসজিদটি।    


এক গম্বুজ বিশিষ্ট চতুস্কোণ এই গৃহেই রয়েছে হজরত মহম্মদের পদচিহ্ন। শুনলাম পদচিহ্নটি দিনের বেলায় এই গৃহে থাকলেও প্রতিদিন নাকি সেটি রাত্রিবেলায় অন্যকোনো নির্দিষ্ট স্থানে সংরক্ষিত থাকে। এই প্রাঙ্গনটিতেই রয়েছে ফতে খাঁ-র সমাধি। দোচালা বিশিষ্ট সমাধিটি যে গৃহে সংরক্ষিত রয়েছে এটি গ্রাম বাংলার দো-চালা গৃহের ন্যায়।


কদম রসুল মসজিদের নিকটে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে লুকোচুরি দরওয়াজা, আমাদের পরবর্তী দ্রষ্টব্য, অবস্থিত। শাহ সুজা ১৬৫৫ খ্রিস্টাব্দে সালে মোঘল  স্থাপত্য শৈলীতে এটি নির্মাণ করেছিলেন বলে জানা যায়। লুকোচুরির রাজকীয় খেলা থেকে এই নামের উৎপত্তি হয়েছে যেটি সুলতান তার বেগমদের সাথে খেলতেন। আবার অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন এটি ১৫২২ খ্রিস্টাব্দে আলাউদ্দিন হোসেন শাহ কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল। এই দ্বিতল দরওয়াজাটি প্রাসাদের প্রধান প্রবেশদ্বার ছিল।



আজ এই পর্যন্ত। পরবর্তী পর্বে আসবো রামকেলী দর্শনের বর্ণনা নিয়ে।

জানুয়ারী, ২০২৪


রাজমহল: পর্ব-২ (Rajmahal: Part-2)

সম্পত ঘোষ (Sampat Ghosh)  রাজমহল: পর্ব-১  -র পর- ঘুম ভাঙলো প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের শব্দে। বাইরে তখন খুবই কুয়াশা, হোটেলের ঘরের কাঁচের ...